রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী বিভাগে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। রোববার একদিনে ৪৩ জন বেড়ে করোনায় আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ৯১৭ জনে। বিভাগের আট জেলার মধ্যে চার জেলায় নতুন ৪৩ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য।
তিনি বলেন, সবশেষ একদিনে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে বগুড়া জেলায় ৩৫ জন। এছাড়াও রাজশাহীতে একজন, জয়পুরহাটে দুইজন ও সিরাজগঞ্জে পাঁচজন নতুন করোন রোগি শনাক্ত হয়েছে।
ডাঃ গোপেন্দ্র নাথ জানান, গত ১২ এপ্রিল রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় বিভাগে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়। এরপর এ পর্যন্ত বিভাগের আট জেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯১৭ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫৩ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ছয়জন। আর করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ২৩০ জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের দেয়া তথ্য মতে, রাজশাহী বিভাগে এখন করোনার হটস্পট বগুড়া। এই জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৫৭ জন। করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৩২ জন। করোনায় প্রাণ গেছে একজনের।
বিভাগে আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জয়পুরহাট। এ জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে ১৮৯ জনের। করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ৭৮ জন। আর নওগাঁ বিভাগে তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। করোনায় মারা গেছেন একজন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭২ জন।
রাজশাহীতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫২ জন। করোনা জয় করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন ১৩ জন। আর করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন এক পুলিশ সদস্যসহ দুইজন। নাটোরে আক্রান্ত ৫৫ জন। করোনা জয় করেছেন ১০ জন। করোনায় মারা গেছেন একজন। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৪ জনের। করোনা জয় করেছেন ১৩ জন।
সিরাজগঞ্জে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগি শনাক্ত হয়েছে ৪৩ জন। এদের মধ্যে একজনের প্রাণ গেছে করোনায়। সুস্থ হয়েছেন চারজন। আর পাবনা এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৩৫ জন। সুস্থ হয়েছেন জন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য বলেন, রাজশাহী বিভাগে করোনা পরিস্থিতি অবনতির দিকে আছে। মানুষের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। করোনা মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন হতে হবে। অতি জরুরী প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। প্রয়োজনে বের হলে মাস্ক পড়তে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
Leave a Reply